,

রাত পোহালেই জেলা পরিষদ নির্বাচন :: নবীগঞ্জের ৩টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের নির্ঘুম প্রচারণা :: প্রতি ভোটের মূল্য লাখ টাকা

রিপন দেব ॥ রাত পোহালেই হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে ভোট গ্রহনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে জেলা নির্বাচন অফিস। প্রতিটি কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ব্যালট বাক্সসহ সকল প্রকার নির্বাচনী উপকরণ। নবীগঞ্জ হীরা মিয়া গার্লস হাইস্কুল, ইনাতগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোপলারবাজার হাইস্কুল এ তিনটি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকাল ২টা পর্যন্ত এক টানা চলবে এই ভোট গ্রহন। শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, হোটেল-রেস্তোরাগুলো এখন সরব নির্বাচনী আলোচনায়। খানা-পিনা আর লেনদেনের ধুম চলছে এসব স্থানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রার্থীদের পাশাপশি তাদের সমর্থকরা ফেইসবুকে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নবীগঞ্জের জনপ্রতিনিধিদের কদর বেড়েছে। জয়ের পাল্লা ভাড়ী করতে কোন কোন প্রার্থী দেদারছে উড়াচ্ছে কালো টাকা। এক একটি ভোটের মূল্য ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিচ্ছেন কোন কোন প্রার্থী। প্রবাসী অধ্যুষিত নবীগঞ্জ উপজেলা একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ পৌরসভা ও ইউনিয়নগুলো আসন্ন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪,৫ ও ৬ নাম্বার ওয়ার্ডে অন্তভূক্ত করা হয়েছে। ৬নং ওয়ার্ডের সাথে বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নটি সংযুক্ত করা হয়েছে। ৪নং ওয়ার্ড গঠিত করা হয়েছে নবীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বড় ভাকৈর ইউপি, পূর্ব বড় ভাকৈর ইউপি, ইনাতগঞ্জ ইউপি, দীঘলবাক ইউপি ও আউশকান্দি ইউপি নিয়ে। ৫নং ওয়ার্র্ডটি কুর্শি ইউপি, করগাঁও ইউপি, নবীগঞ্জ সদর ইউপি, বাউসা ইউপি ও নবীগঞ্জ পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে। ৬নং ওয়ার্ডটি দেবপাড়া ইউপি, গজনাইপুর ইউপি, পানিউমদা ইউপি, কালিয়ারভাঙ্গা ইউপি ও বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউপি নিয়ে গঠন করা হয়েছে। এসব ওয়ার্ডগুলোর ভোটাররা হলেন, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ও উপরোক্ত ভোটার এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানগণ। এদিকে হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারীভাবে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ডাঃ মুশফিক হোসেন চৌধুরী। নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও বাহুবল উপজেলার ১নং স্নানঘাট ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত মহিলা আসনে সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ শিরিন আক্তার (হরিন) ও তরুনা বাহার হোসাইন কলি (দোয়াত কালাম)। তবে জনমত জরিপে এখন পর্যন্ত বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন শিরিন আক্তার। ৪নং ওয়ার্ডে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা হলেন আব্দুল মতিন আছাব (হাতি), মোঃ জামাল চৌধুরী (বৈদ্যুতিক পাখা), ডাঃ নিজামুল ইসলাম চৌধুরী (টিউবওয়েল), নুরুল আমিন পাঠান ফুল মিয়া (তালা), গোলাম হোসেন রব্বানী (ক্রিকেট ব্যাট), ফয়ছল আহমদ (ঘুড়ি), মোতাচ্ছির হোসেন খাঁন (টিফিন বক্স), গৌতম কুমার দাশ (অটোরিক্সা)। এ ওয়ার্ডে ত্রিমুখি লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তালা হলেন শেখ মোঃ শফিকুজ্জামান শিপন (হাতি), আলহাজ্ব হেলাল আহমেদ (টিউবওয়েল), মোঃ আব্দুল মালিক (তালা), আব্দুল মুহিত (উটপাখি), আজিজুল হক চৌধুরী (বৈদুতিক পাখা)। এ ওয়ার্ডে ত্রিমুখি প্রতিদ্বন্ধিতার সম্ভবনা বেশি। ৬নং ওয়ার্ডে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ (অটোরিক্সা), এড. সুলতান মাহমুদ (টিউবওয়েল), এম.এ আহমদ আজাদ (তালা), মাসুদুর রহমান মাসুদ (বৈদুতিক পাখা)। এ ওয়ার্ডে দ্বিমুখি প্রতিদ্বন্ধিতা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর